৬৯৪ মিটার দীর্ঘ সেতুটি ২০১৫ সালের আগস্টে উদ্বোধন করা হয়। এটি নির্মাণে প্রায় ২৯৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়। সেতুর দুধারে স্থাপন করা হয়েছিল শতাধিক সৌরচালিত সড়কবাতি। বছর না ঘুরতেই বাতিগুলো বিকল হয়ে পড়ে। পরে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে সৌর পদ্ধতি বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়, তবে কয়েক মাস পর তা-ও অকেজো হয়ে যায়।
বর্তমানে পুরো সেতু অন্ধকারে থাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। একই সঙ্গে বাড়ছে অপরাধের হারও। দিনে চকচকে সেতুটি রাত হলেই হয়ে ওঠে ‘ভূতের রাজ্য’।

মাদারীপুরের শরীয়তপুর, বরিশালসহ তিন বিভাগের কয়েক হাজার যানবাহন প্রতিদিন এই সেতু ব্যবহার করে। অথচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে বাতিগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি সড়ক বিভাগ। এ অবস্থায় নিজেরাই মাসে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও সেবার মানে অবনতি চোখে পড়ার মতো।
দর্শনার্থী সাদিয়া লিয়া বলেন, ‘এখানে আগে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে আসতাম। এখন আর আসা হয় না। বাতিগুলো বন্ধ থাকায় ইভটিজিং ও ছিনতাই বেড়েছে।’
আরও পড়ুন: কালকিনিতে আবুল হোসেন কলেজের সব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, কমছে শিক্ষার্থী
ট্রাকচালক লুৎফর সরদার বলেন, ‘সেতুতে হাঁটার কোনো আলাদা ব্যবস্থা নেই। আবার বাতিগুলোও বন্ধ। দুর্ঘটনার ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
আর যাত্রী মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, ‘সন্ধ্যার পর অনেকেই ঘুরতে আসেন। কিন্তু আলো না থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হয়।’

মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘শিগগিরই নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।’
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (মিডিয়া) শাহ মো. সজীব বলেন, ‘সেতুর বাতি মেরামতে সড়ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি অপরাধ রোধে প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করবে।’
সেতুটি আবার আলোকিত হবে কবে সে প্রশ্নের উত্তর এখন অধীর আগ্রহে খুঁজছেন যাত্রী, দর্শনার্থী ও স্থানীয়রা।
]]>