ঘোষিত তারিখের আগেই রংপুরে হাঁড়িভাঙা বাজারজাতের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

২ সপ্তাহ আগে
মিঠাপুকুরে হাড়িভাঙা আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। এতে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুলতামিস বিল্লাহ।

মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসন ও মিঠাপুকুর কৃষি অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে পদাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপূর্বে খোড়াগাছ মণ্ডলপাড়া গ্রামে আইয়ুব আলীর বাগানে আম ছিঁড়ে হাড়িভাঙা আম বাজারজাতকরণের উদ্বোধন করেন রংপুর জেলা প্রশাসক।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, ‘রংপুরের হাড়িভাঙা আম আমাদের রংপুরের গর্ব। জিআই পণ্য হিসেবে হাড়িভাঙা আম সরকারিভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ অঞ্চলের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে।’


এদিকে, এ মতবিনিময় সভা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে রংপুরের কৃষি অধিদপ্তরে অতিরিক্ত পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ ডিসি স‍্যার ফোন করে আমাদেরকে এ মতবিনিময় সভায় ডাকেন। আমরা এ সম্পর্কে আগে থেকে কিছুই জানি না। আগামী ২০ জুন বাজারজাতের তারিখ নির্ধারণ করেছিল কৃষি বিভাগ। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল স‍্যার হঠাৎ করেই ঘোষিত তারিখের আগেই হাড়িভাঙা আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে আনুষ্ঠানিক বাজারজাতের উদ্বোধন করেন।’


তিনি বলেন, ‘এবার তারিখ নিয়ে কৃষি বিভাগের সঙ্গে চাষি ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়হীনতার কারণে নির্ধারিত তারিখের আগেই বাজার সয়লাব হাড়িভাঙায়। হাড়িভাঙা আম নিয়ে গবেষণা চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে হাড়িভাঙা আম বাজারজাত না করতে আমচাষিদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আরও পড়ুন:  এবার আগেই নামছে হাঁড়িভাঙা, বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ কোটি


বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিতি ছিলেন, রংপুর জেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মো. এনামুল হক, বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান রানা, নাজমুল হক(ইমন)।


স্বাগত বক্তব্যে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন জানান, এবারে মিঠাপুকুরে ১৩০০ হেক্টর জমিতে আম রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬০০০ মেট্রিক টন, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
 

আম সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য আমচাষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল সময় সংবাদকে মোবাইলে বলেন, ‘কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক কেন এ বিষয়টি জানে না আমি জানি না। জেলার ডিডি অফিসার ও উপজেলার কৃষি অফিসার আমার সঙ্গে ছিল।’ 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন