লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি হারের পর টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও, পরের দুই ম্যাচে লিটনের ব্যাট হেসেছে। আর ম্যাচ শেষে লিটন জানান সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘মানসিকভাবে পিছিয়ে কখনও ছিলাম না। আপনি প্রতিদিন আপনার অফিসেও খুব একটা ভালো ফিল করবেন না। ক্রিকেটটা মাঝেমধ্যে একটু ফিলিংসেরও দরকার আছে। আমার মনে হয়, যেহেতু রান পাচ্ছিলাম না বড় ইনিংসে। চেষ্টা করেছি শতভাগ দেয়ার। তিন ফরম্যাটে মাইন্ডসেট ভিন্ন থাকে। এই ফরম্যাটে অনেক দিন ধরে খেলছি, কীভাবে খেলতে হয়, দল কীভাবে আগায়ে নিতে হয়। এই ফরম্যাটে কখনও আমার সেই চাপটা ছিল না যে আমি আগে কিছু করে আসি নাই। সবসময় মনে হয়েছে, আমরা তো পাকিস্তান সিরিজ খেলেছি। হয়তো বা সিরিজ জিততে পারিনি, তবে সবাই মোটামুটি ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-২০ সিরিজ জয় বাংলাদেশের
টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘সবসময় চেষ্টা থাকে শতভাগ দেয়ার। অনুশীলনও করি। বিশ্বাস সবসময় আছে। ১০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। যেহেতু অনেক দিন ধরে রান করতেসিলাম না। চেষ্টা ছিল সুযোগ কখন আসব। সেই সুযোগ কীভাবে কাজে লাগাতে পারি। দ্বিতীয় ম্যাচ অনেক প্লাস পয়েন্ট ছিল। দল হিসেবে যখন ম্যাচ জিতবেন, আমার মনে হয় এমনিই একটা আলাদা চেহারা চেঞ্জ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচ অনেক বড় ব্যবধানে জেতা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৮৩ রানে জেতা সবসময় বড় অর্জন। আত্মবিশ্বাস সবার মধ্যেই ছিল, দল হিসেবে। আমরা বিশ্বাস করি আমরা ভালো ক্রিকেট খেললে জিততে পারব।’
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রান পাননি লিটন। তবে পরের দুই ম্যাচে ভালো করেছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৬ এবং গতকালের ম্যাচে ৩২ রান করেছেন লিটন। দারুণভাবে কামব্যাক করতে কার সহায়তা নিয়েছেন এমন প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘কামব্যাকের জন্য আসলে কারও সঙ্গে কাজ করিনি, ক্রিকেটটা তো ব্যক্তিগত। নিজে নিজে যতটা চেষ্টা করবেন সেটাতে কাজ হবে বেশি। কিছু মানুষ তো আপনার পাশে থাকবে সাহায্য করতে। সেই হেল্পটা যদি মোটিভেশন হয় সেটা আরও ভালো। নিজের পরিশ্রম নিজেই করে যাওয়া দরকার।’