ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, ‘ধারালো বস্তু দিয়ে বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ এবং হুমকি দেয়ার চেষ্টা করার পর’ সেনারা গুলি চালিয়ে ‘এক সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয়’ করে।
কিন্তু জসিমের পরিবারের দাবি, ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণ যখন তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল, তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজনরা টাইমস অব ইসরাইলকে জানিয়েছেন, গুলি চালানোর পর সেনারা নিজেদের মধ্যেই তর্ক করছিল। এটি ইঙ্গিত দেয়, হয়তো তারা নিজেরাই বুঝতে পারেনি যে কেন তাদের মধ্যে একজন গুলি চালালো।
আরও পড়ুন: গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৭১
জসিমের ভাই দারবিশ আল-সিদ্দেহ টাইমস অব ইসরাইলকে জানান, সেদিন রাত দেড়টার দিকে যখন পাঁচ সেনা দরজা দিয়ে প্রবেশ করে, তখন তারা এবং তাদের বাবা বাড়িতে একা ছিলেন।
দারবিশ বলেন,
তারা ভেতরে ঢুকে কারও সাথে কথা বলেনি এবং সরাসরি সেই ঘরে ঢুকে পড়ে যেখানে জসিম ঘুমাচ্ছিল। আমি প্রচণ্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়।
পাশের ঘর থেকে তিনি শুনতে পান যে গুলি চালানোর পর সেনারা তর্ক করছে। বলেন, “তাদের মধ্যে (ইসরাইলি সেনা) একজন হিব্রুতে বলছিল, ‘তুমি কি করছো, পাগল হয়ে গেছো?’ গুলি চালানোর আগে আমি জসিমের কণ্ঠস্বর শুনতে পাইনি - একটি শব্দও শুনতে পাইনি। সে তখনও ঘুমাচ্ছিল।”
দারবিশ জানান, গুলি চালানোর পর সৈন্যরা তাদের অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলে, কিন্তু জসিমকে যে ঘরে গুলি করা হয়েছিল সেখানে তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। পরে জসিমকে একটি সামরিক জিপে তুলে দেয়া হয় এবং তারপর তাকে রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্সে হস্তান্তর করে। ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে জসিমকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: হামাসকে মোকাবিলায় গাজার ‘অপরাধী চক্রের’ হাতে অস্ত্র তুলে দিলো ইসরাইল
ঘটনাটি তদন্তাধীন বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল
]]>