ঘরে-বাইরে গ্যাসের জন্য হাহাকার, তবুও পরিশোধ করতে হয় বিল!

১৮ ঘন্টা আগে
এমনিতেই গ্যাস সংকটে নাকাল গোটা দেশ, এরমধ্যে বৈরী আবহাওয়ায় আমদানি করা এলএনজি খালাসে বিঘ্ন ঘটায় টান পড়ে সরবরাহ ব্যবস্থায়। ফলে গ্যাসের জন্য এখনো হাহাকার চলছে ঘরে-বাইরে সবখানে। বাসা-বাড়ি, ফিলিং স্টেশন থেকে শুরু করে শিল্পকারখানা, কোথাও নেই গ্যাসের চাপ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সমস্যা সমাধানে এলএনজির নতুন উৎস খুঁজে বের করা উচিত।

বৈরী আবহাওয়া হলেই বিঘ্নিত হচ্ছে মহেশখালীতে সাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ। এমন বাস্তবতায় দেশজুড়ে চলছে গ্যাসের জন্য হাহাকার। রান্নার গ্যাসটুকুও যেনো সোনার হরিণ।

 

এতে দুর্ভোগ বাড়ছে গ্রাহকদের। তারা বলছেন, দিনের বেলা গ্যাস থাকেই না। মাঝ রাতের দিকে একটু আসে। তখন উঠে যতটুকু রান্না করা যায়, ততটুকুই।

 

আরও পড়ুন: সকাল থেকে ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায়

 

তবে বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা তো নিত্যসঙ্গী ঢাকাবাসীর। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আগারগাঁও, মিরপুর-১২, পল্লবী, খিলগাঁও, ফার্মগেট, হাতিরপুল ও রামপুরার বাসিন্দারা। অনেকে বাধ্য হয়ে ভরসা রাখছেন মাটির চুলায়। সাধারণ মানুষ বলছেন, গ্যাস সংকট থাকলেও বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে নিয়মিতই। অন্যদিকে, গ্যাস না থাকায় বাধ্য হয়ে মাটির চুলায় রান্না করতে হচ্ছে। সেই লাকড়িও ১৫-২০ টাকা কেজি।

 

শুধু কী বাসাবাড়ি? ফিলিং স্টেশন থেকে শুরু করে শিল্পকারখানা, কোথাও নেই গ্যাসের চাপ। গাড়ি চালকরা বলেন, ১৫০ প্রেশারে গ্যাস নিয়ে চলে না। বারবার গ্যাস নিতে হয়। আর এর জন্য ফিলিং স্টেশনগুলোতে লাইন ধরতে হয় ২-৩ ঘণ্টা পর্যন্ত।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা সমাধানে এলএনজির নতুন উৎস খুঁজে বের করা উচিত। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, সবকিছু হিসাব করলে দেখা যায়, মানুষ বেশি দামে এই গ্যাস কিনছে। সরকারি সংস্থাগুলোর অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার কারণেই সংকট কাটছে না। সমস্যা সমাধানে এলএনজির নতুন উৎস খুঁজে বের করতে হবে।

 

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিদ্যমান গ্যাসের চাহিদার ৩০ শতাংশের বেশি পূরণ করছে এলএনজি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন