মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সের পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে ফ্রাঁসোয়া বাইরু হারার পর লেকর্নুর ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী।
এলিসে প্রাসাদ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেবাস্তিয়ান লেকর্নুরকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে ফ্রান্সের পরবর্তী বাজেট প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আস্থা ভোটে পরাজয়ের পর বাইরু প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর মধ্য দিয়ে ম্যাক্রোঁর দ্বিতীয় মেয়াদে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন লেকর্নু।
আরও পড়ুন: পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে গেলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী, সরকারের পতন
পূর্বসূরির মতো লেকর্নুকেও একই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। ফ্রান্সের ঋণ বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী। চলতি বছরের শুরুর দিকে এটি ৩.৩ ট্রিলিয়ন ইউরোতে (প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন পাউন্ড) পৌঁছায়, যা দেশের মোট জিডিপির ১১৪ শতাংশ।
সংসদে ৪৪ বিলিয়ন ইউরোর সাশ্রয় পরিকল্পনা পাশ করানোর চেষ্টা করেছিলেন বাইরু। এতে সরকারি ব্যয় স্থগিত করা ও দুটি সরকারি ছুটি বাতিলের মতো প্রস্তাব ছিল, যা জনগণের মধ্যে তীব্র অস্বস্তি তৈরি করে। ভোটের আগে এমপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সরকারকে নামানো সম্ভব, কিন্তু বাস্তবতাকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। ঋণের বোঝা আরও বাড়বে এবং ব্যয়ও থামবে না।’
সংসদে ৩৬৪ জন এমপি বাইরুর বিরুদ্ধে ভোট দেন, আর পক্ষে যান মাত্র ১৯৪ জন। সরকার পতনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৮০ ভোটের চেয়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি। ফলে মাত্র ৯ মাস ক্ষমতায় থাকার পরই পদত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন বাইরু।
]]>