রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই পাইকারি ক্রেতারা ভিড় করেন শায়েস্তানগর বাজারে। জেলার বিভিন্ন হাওড় ও নদী-বিল থেকে সারারাত মাছ শিকার করে ভোরে জেলেরা মাছ নিয়ে আসেন শায়েস্তানগর বাজারে। এখানে হাওড়ের সব ধরনের মাছই পাওয়া যায়।
হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর বাজারে দেশি মাছের সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়। রুই, কাতলা, বাইম, শোল ও শিং-মাগুরসহ দেশীয় সব প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় এ বাজারে। বর্তমানে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় মাছের দামও অনেকটা কম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বোয়াল মাছের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শোল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, নয়না ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কই ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: এক মাছের দাম ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা
তরতাজা মাছ কিনতে সকাল থেকেই বাজারে ভিড় করেন খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা। এখান থেকে মাছ কিনে জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন মাছ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে মাছ বিক্রি করেন পাইকাররা। ভোর ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। তবে প্রচণ্ড কুয়াশা ও শীতে বাজারে ছাউনি না থাকায় ক্রেতা বিক্রেতাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
শায়েস্তানগর মাছ বাজার কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, এটি জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছের বাজার। কিন্তু তীব্র শীতেও এখানে মাছ ব্যবসায়ীদের মাথা গোঁজার জায়গাটাও নেই। আমরা নিজ খরচে অস্থায়ী শেড তৈরি করেছিলাম তাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। মাছ ব্যবসায়ী স্থায়ীভাবে একটি বাজার চায়। সুপরিকল্পিত বাজার তৈরি করা হলে বেচাকেনা আরও বাড়বে। শায়েস্তানগর মাছ বাজারে খুচরা ও পাইকারি মিলিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়।