ভারতের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্যই নয়াদিল্লি বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশেষভাবে মনযোগী বলেও লোকসভার এক অধিবেশনে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার প্রশ্নের জবাবে এস জয়শঙ্কর এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, এই ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হয়েছিল। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলে এমন ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সরকারি ফ্যাক্টচেকার প্ল্যাটফর্ম বাংলাফ্যাক্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সরকার আমাদের জানিয়েছে যে ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ইতিহাস সম্পর্কিত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: বিমানে উঠেই যাত্রীর প্যানিক অ্যাটাক, চড় মারলেন আরেক যাত্রী (ভিডিও)
‘সেখানে মধ্যযুগের বাংলার একটি মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল। ওই প্রদর্শনীর যারা আয়োজক ছিলেন, তারা বাংলাদেশের সরকারকে বলেছেন যে কোনো বিদেশি সংস্থা বা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামের কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই।’
এদিকে জয়শঙ্করকে উদ্ধৃত করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকারের ফ্যাক্ট-চেকার প্ল্যাটফর্ম বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, বাংলাদেশে ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ কার্যক্রম চালানোর কোনো প্রমাণ নেই। তথাকথিত পূর্ববর্তী বাংলা সালতানাতের প্রসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক প্রদর্শনীতে এই মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।’
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
]]>