৩২ টি ক্লাব নিয়ে এবার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আসর বসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ইতোমধ্যে গ্রুপ পর্ব শেষ হয়ে গেছে, আজ রাত থেকেই শুরু হবে নকআউট পর্বের খেলা। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন পালমেইরাস মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপের রানার আপ দল বোতাফোগোর। খেলা শুরু হবে রাত ১০টায়।
পরের ম্যাচে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বেনফিকা খেলবে গ্রুপ ‘ডি’-এর রানারআপ চেলসির বিপক্ষে। এই ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়। আগামীকাল (২৯ জুন) রাত ১০টায় গ্রুপ ‘এ’-এর রানার আপ ইন্টার মায়ামি খেলবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন পিএসজির বিপক্ষে। এরপরের ম্যাচে রাত ২টায় গ্রুপ ‘ডি’এর চ্যাম্পিয়ন দল ফ্ল্যামেঙ্গো খেলবে ‘সি’ গ্রুপের রানার আপ বায়ার্ন মিউনিখের।
ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষে দলগুলোর আয়ের একটি হিসাব দিয়েছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’। যেখানে সবার শীর্ষে আছে ইংলশি ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি। ক্লাবটির আয় এখন পর্যন্ত ৫১.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৬৬৩ কোটি টাকা। ১ জুলাই রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি খেলবে সৌদি ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন: ইউরোর পাঁচদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি দুইবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী
ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষে আয়ের তালিকায় দুই নম্বরে আছে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাবটির আয় ৪৮.৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৫৯০ কোটি টাকার বেশি। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে ২ জুলাই জুভেন্টাসের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ।
এ তালিকায় তিন নম্বরে আছে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। তাদের আয় ৪৫.১ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ সাড়ে ৫শ’ কোটি। চার নম্বরে আছে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। গ্রুপ পর্ব শেষে তাদের আয় ৪২.৮ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৫২৩ কোটি টাকার বেশি।
এ তালিকায় ৫ নম্বরে আছে আরেক ইংলিশ ক্লাব চেলসি। যাদের আয় ৪০.৫ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৫শ’ কোটি। ৬ নম্বরে থাকা জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আয় ৩৯.২ মিলিয়ন ডলার। তালিকায় সাত নম্বরে আছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান। তাদের আয় এখন পর্যন্ত ৩৬.৮ মিলিয়ন ডলার।
পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায় এ তালিকায় আছে ৮ নম্বরে। ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষে ক্লাবটির আয় ২৯.৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ৩৬৫ কোটিরও বেশি। ৯ নম্বরে আছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো। তাদের আয় ২৭.৭ মিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: ক্লাব বিশ্বকাপের সমালোচনা করে রাফিনিয়া–ছুটি পাওয়া খেলোয়াড়দের অধিকার
১০ নম্বরে থাকা বোতাফোগোর আয় ২৬.৭ মিলিয়ন ডলার। ফ্লুমিনেন্স ও পালমেইরাস আছে যথাক্রমে ১১ ও ১২ নম্বরে। এই দুই ক্লাবের আয় সমান ২৬.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার করে। ১৩ নম্বরে থাকা ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের আয় ২৬.৬ মিলিয়ন। আর ১৪ নম্বরে থাকা পোর্তোর আয় ২৪ মিলিয়ন।
স্প্যানিশ আরেক ক্লাব আতলেটিকো মাদ্রিদ আছে এ তালিকায় ১৫ নম্বরে। তাদের আয় ২৩.৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার। সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালের অবস্থান তালিকায় ১৬ নম্বরে। তারা আয় করেছে ২১.১ মিলিয়ন ডলার। মেসির ইন্টার মায়ামি তালিকায় আছে ১৭ নম্বর স্থানে। তাদের আয় ২১.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার
ক্লাব বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েও ক্লাবগুলো আয় করেছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। সর্বনিম্ন আয় নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটির। যদিও তারা গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি। তবুও ক্লাবটি আয় করেছে ৪.৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
]]>