যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পাকাপোক্ত করার ব্যাপারে গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারা নানা মতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বেশিরভাগেরই মতামত, সামগ্রিক উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে। পুরোপুরি যুক্তরাষ্ট্রের অংশ না হয়ে শুধুমাত্র কৌশলগতভাবে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক চান তারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের উচিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা। এতে, নতুন সুযোগ তৈরির মাধ্যমে দেশের উন্নতি হবে।’
আরেকজন বললেন, ‘বাণিজ্য ও রফতানি খাতে আমরা অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে পারি। পর্যটন খাতেও। এতে দেশে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। তবে এখন যা আছে, তার চেয়ে বেশি সামরিক কর্মকাণ্ড আমরা চাই না।’
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ড কিনতে ট্রাম্পের তোড়জোড়, প্রস্তাবে সায় বাসিন্দাদের!
তবে কেউ কেউ গ্রিনল্যান্ড বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই উৎসাহকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছেন। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা না নেয়াটাই দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
তারা বলছেন, ‘গ্রিনল্যান্ডের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই অতিরিক্ত উৎসাহই প্রমাণ করে যে এতে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। মার্কিনিদের ওপর কোনো ধরনের নির্ভরতা আমাদের প্রয়োজন নেই।’
যদিও গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুতে এগেদে জানান, নিজস্ব শর্তসাপেক্ষে প্রতিরক্ষা ও খনি সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে যাচ্ছেন তারা। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেডরিকসন বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে ৪৫ মিনিট ধরে চলা এক ফোনালাপে বলেন, গ্রিনল্যান্ডের ভবিষ্যৎ কী হবে তা তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর প্রস্তাব ডেনমার্কের
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া যদি কোনো কারণে, কখনো যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে গ্রিনল্যান্ডই তাদের জন্য সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথ। যা গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
]]>