স্থানীয়রা জানান, বিকেলে হুমায়ুন কবীর ও সোহাগ মিয়া বাড়ি থেকে পাশের বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে সোনাকান্দি গ্রামের বাদল মিয়া ও রাশেদুল রানা তাদের গতিরোধ করেন। তখন হুমায়ুন দৌড়ে পাশের একটি চায়ের দোকানে ঢোকার চেষ্টা করলে সেখানেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সহপাঠী সোহাগ মিয়া বলেন, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। আগের দিন রাতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি দোকানে পান-চায়ের ১০ টাকার বিল পরিশোধ নিয়ে বাদল ও রানা দ্বন্দ্বে জড়ান। তখন হুমায়ুন পরিস্থিতি শান্ত করতে নিজের পকেট থেকে বিল পরিশোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় তারা এবং পরদিনই তাকে কৌশলে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: খেলনা পিস্তল দেখিয়ে তারা বলে, ‘ক্যাশবাক্সে যা আছে বের কর, নইলে মেরে ফেলব’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, বন্ধু সার্কেলের মধ্যে চায়ের বিল দেয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এর জেরেই আজ বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর হুমায়ুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
ওসি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।