সোমবার (২৭ অক্টোবর) বাবার সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে আসেন ৬ বছর বয়সী মুসা। বাবা সাক্ষ্য দেন রামপুরা হত্যা মামলায়।
৬ বছরের ছোট্ট মুসার স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। এক নিমিষেই সব ওলটা-পালট হয়ে গেছে। ১৯ জুলাই আন্দোলন চলাকালে ঘাতকের বুলেট এসে লাগে মুসার মাথায়। একপাশ দিয়ে ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। সেই গুলি আবার লাগে মুসার দাদির পেটে। সেই গুলিতে মারা যান দাদি মায়া ইসলাম।
মুসার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার একটিমাত্র ছেলে। ওকে ইংলিশ ভার্সনে পড়াচ্ছিলাম। ওর স্বপ্ন ছিল পাইলট হবে। কিন্তু এখন হয়তো আর সে স্বপ্ন পূরণ হবে না। ওর আর প্লেন ওড়ানো হলো না।’
ঢাকার দুই হাসপাতাল ঘুরে মুসার চিকিৎসা হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয় সিএমএইচ হাসপাতালে। সেখান থেকেই বাবার সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে আসেন মুসা।
সোমবার বাবা যখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মুসা তখন এজলাসের বেঞ্চে নিথর হয়ে শুয়ে ছিলেন। বিচারকরাও মুসার গুলিবিদ্ধ হওয়া ও শারীরিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। মুসার উন্নত চিকিৎসার এবং গুলির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বাবা।
মুসার বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে নল দিয়ে খাবার খাচ্ছে। ও মুখ দিয়ে কিছু খেতে পারে না। ও ডান পাশ এখন প্যারালাইজড। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এটা ঠিক হওয়া সম্ভব। এবং ওর মাথার এক পাশের খুলি নেই। এটা আর্টিফিশিয়াল খুলি লাগানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৭ দিনের মধ্যে গুম-খুনে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ‘মায়ের ডাক’
তিনি আরও বলেন, ‘ও হাঁটাচলা করতে পারে না। কথা বুঝতে পারলেও বলতে পারে না। স্বাভাবিক খাবার খেতে পারে না।’
আদালতে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আজ আদালতে গিয়েছি, যারা আমার মাকে হত্যা করেছে এবং আমার শিশুর এ অবস্থা করেছে, তাদের বিচার চাইতে।’
এদিকে শেখ হাসিনার খালাস পাওয়া নিয়ে বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
তার দাবি, বিচারের মান ও স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ক্যাঙারু কোর্টের অভিযোগও ভিত্তিহীন।

১ সপ্তাহে আগে
৩








Bengali (BD) ·
English (US) ·