স্থানীয়রা জানান, সুমনের আত্মীয় না হয়েও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেন একই এলাকার বার্নাড রোজারিও নামে এক ব্যক্তি। আসামি করা হয় বাবা, ভাই ও স্ত্রীসহ ছয় জনকে। যদিও পরিবারের দাবি, প্রায় ২ বছর আগে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান সুমন।
মৃতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সমর পালমা বলেন, ‘তার ছেলে সমর পালমা পৌরসভার ভাদার্তী এলাকায় একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র রিহ্যাব পরিচালনা করতেন। সে সেখানেই থাকতেন। মাঝে মধ্যে বাড়িতে তার পরিবারের কাছে আসতেন। সেদিন রাতে অসুস্থ অনুভব করলে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা বাদী অহেতুকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু প্রতিকার চাই।’
আরও পড়ুন: হাওড়ে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
এ ঘটনার প্রায় দেড় বছর পর এ হত্যা মামলাটি করা হয়। পরে ঘটনার সত্যতা জানতে কবর থেকে মরদেহ তুলে তা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত দেন আদালত। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার মরদেহ তুলতে গেলে তাতে বাধা দেন এলাকাবাসী। বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে পিছু হটে আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনী। পরে মরদেহ না তুলেই প্রাথমিক তদন্ত শেষে ফিরে যান তারা।
মামলার বাদী বার্নাড রোজারিও এর একাধিক ফোন নম্বরে ফোনে কল করলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
পরিবারের দাবি, মৃত সুমনের সঙ্গে মামলার বাদী বার্নাডের পূর্ব থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। সে কারণে তার পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত শেষে বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।