গাজীপুর-সাভারে পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ, গাড়ি ও কারখানায় আগুন

২ সপ্তাহ আগে
বেক্সিমকোসহ দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে যান চলাচল দিনভর বন্ধ ছিল।  বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন শ্রমিকরা। সংঘর্ষের কারণে পার্শ্ববর্তী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শ্রমিকরা সাভারের একটি কারখানায় অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি মহাসড়কে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।  এর ফলে গাজীপুর ও সাভার এলাকার বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। গাজীপুরে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা তাদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে সকাল ৯টার দিকে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে।  অন্যদিকে ডরিন কারখানার শ্রমিকরা তাদের কারখানা পুনরায় চালুর দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। শ্রমিকদের বরাত দিয়ে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, "ব্যবসায়ী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তারের পর বেক্সিমকো কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।" সকালে কারখানা বন্ধ পেয়ে ডরিন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।  এতে শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  একপর্যায়ে শ্রমিকরা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর বলেন,  "বেক্সিমকো ও ডরিন কারখানার শ্রমিকরা আশুলিয়ার জিরানীর নবী টেক্সটাইল এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার লিমিটেডে ঢুকে কর্তৃপক্ষকে তাদের উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য করেছে।" একপর্যায়ে আমাজন কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা কারখানার কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করে। পরে বহিরাগতরা কারখানার ভেতরে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এই আগুন শ্রমিক কলোনিতে ছড়িয়ে যাওয়ায় ২০টি কক্ষ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা গত সাত দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন।
সম্পূর্ণ পড়ুন