শুক্রবার (৩০ মে) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর ‘খুব কাছাকাছি’ রয়েছে মধ্যস্থতাকারীরা।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা আপনাদের দিনের বেলায় অথবা হয়তো আগামীকাল এ বিষয়ে জানাব। এ বিষয়ে চুক্তির একটি সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন: গাজাবাসীকে জোরপূর্বক অনাহারে রাখছে ইসরাইল: জাতিসংঘ
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানায় তারা।
গাজায় সবশেষ প্রস্তাবিত মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ২৮ জন ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ১,২০০-র বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি এবং ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেও গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় গাজাজুড়ে আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল ও হামাস কী বলছে?
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার গাজার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস, রাফা এবং গাজা সিটিতে একযোগে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। খান ইউনিসে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে প্রাণ যায় এক শিশুর, আহত হয় তার মা। গাজা সিটিতে বেসামরিক গাড়িকে লক্ষ্য করে বিমান হামলায় নিহত হন অনেকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও।
এদিকে, পশ্চিম তীরে নতুন করে ৫ হাজার বসতি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি সরকার। জর্ডান ও অন্যান্য এলাকায় এ বসতি নির্মাণ করা হবে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ সত্ত্বেও বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের কোনও ইঙ্গিত দেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন।
অন্যদিকে গাজার জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক আটকে দিয়েছে ইসরাইলি বিক্ষোভকারীরা। কেরেম শালোম ক্রসিংয়ের কাছে বিক্ষোভকারীরা ‘কোনো খাদ্য নয়, শুধু জিম্মি ফেরত চাই’ লেখা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেয়। এতে যুদ্ধবিরতি ও সহায়তা পৌঁছানো আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
]]>