এই হুতি কর্মকর্তা বলেন, ‘হুতিরা গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সমর্থন করে। রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেই তারা গাজার সমর্থনে সামরিক অভিযান বন্ধ করবে।’
তিনি আরও বলেন, হুতিরা আশা করে যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগেই ইসরাইল তার সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধ করবে। দুর্ভাগ্যবশত, ইসরাইল এখনও নারী ও শিশুদের হত্যা করেই চলেছে। এ কারণে হুতিরা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে।
মোহাম্মদ আল বুখাইতি আরও বলেন, ইসরাইল যদি গাজায় আগ্রাসন বন্ধ করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরাইল ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে হুতিরাও তাদের অভিযান বন্ধ করবে, যার মধ্যে নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর আক্রমণও অন্তর্ভুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
আরও পড়ুন: গাজায় লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা স্বীকার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
চুক্তি অনুযায়ী রোববার (১৯ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। যুদ্ধবিরতির অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানিয়েছে, এদিন গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এটি কার্যকর হবে।
এর মধ্যদিয়ে গাজায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর ৪৬৯ দিনের আগ্রাসী অভিযান ও হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। যেখানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৭ হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। উদ্বাস্তু হয় প্রায় ২০ লাখ। যারা এখন খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছে।
গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসন ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞের জবাবে হিজবুল্লাহ ও ইরাকি প্রতিরোধ বাহিনীর পাশাপাশি সেই শুরু থেকেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এমনকি ইসরাইল যেভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজায় অবিরাম হামলা চালাচ্ছে, একইভাবে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যা বললেন হিজবুল্লাহ প্রধান
সবশেষ শনিবারও (১৮ জানুয়ারি) ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এর যোদ্ধারা। হামলার পর রাজধানী তেল আবিবসহ ইসরাইলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সাইরেন বাজতে শোনা যায়। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবারের হামলার মধ্য দিয়ে চলতি সপ্তাহে হুতি বিদ্রোহীরা চতুর্থ দফা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
টাইমস অব ইসরাইলের খবরে বলা হয়, হামলার পর তেল আবিবের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে সব ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। তবে হামলায় কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।
]]>