গাজায় নৃশংসতা ব্লিঙ্কেনকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক

১ সপ্তাহে আগে
দীর্ঘ ১৫ মাস গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জাতির উদ্দেশে দেয়া শেষ ভাষণের সময় সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়তে হয় তাকে। শুধু শেষ ভাষণেই নয়, এমন কৃতকর্মের জন্য তাকে ভবিষ্যতেও হিসাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক হালা রারিত।

সম্প্রতি আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। গত বছর এপ্রিলে গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন রারিত।

 

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সমর্থনের দায়ভার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে।

 

গাজায় নির্যাতন ও নিপীড়নের তথ্য–প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র নেতানিয়াহুকে সমর্থন দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি অবজ্ঞা করে বাইডেন তেল আবিবকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে জানান এই কূটনীতিক। গাজায় ইসরাইলের প্রতি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সমর্থনের এ কালো অধ্যায় ইতিহাসে তার বিরুদ্ধে কঠোর রায় দেবে বলে মন্তব্য করেন রারিত।

 

আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেই আমাদের হামলা বন্ধ হবে: হুতি

 

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর নিষিদ্ধ উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি আইন আছে। এর মধ্যে দ্য লেহি আইন উল্লেখযোগ্য বলে জানান রারিত। সে আইন অনুযায়ী, যেসব সামরিক বাহিনী বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করা যাবে না।

 

গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাইডেন প্রশাসন ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। বাইডেন প্রশাসন এসব আইনকে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: গাজায় লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা স্বীকার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

 

১৫ মাস ধরে চলমান গাজা যুদ্ধে ত্রাণ সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরাইল। এরপরেও মার্কিন কংগ্রেসে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে ইসরাইলের বাধা নেই বলে দাবি করে কংগ্রেসে নিশ্চয়তা দেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।


গাজায় ইসরাইলের প্রতি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সমর্থন ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে কঠোর রায় দেবে বলে হুঁশিয়ার করেন রারিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব শেষ হলেও গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্লিঙ্কেনের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন