এতে বলা হয়, ডেমোক্র্যাট ভোটারদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ মনে করেন ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। স্বাধীন ভোটারদের মধ্যে এই মত দিয়েছেন ৫১ শতাংশ। তবে রিপাবলিকান ভোটারদের বড় অংশ মনে করেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ঠিক নয়। তাদের মাত্র ২০ শতাংশ ইসরাইলকে গণহত্যার জন্য দায়ী করেছেন।
সামরিক সহায়তার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের জনমত স্পষ্টভাবে বিভক্ত হয়ে উঠেছে। জরিপে অংশ নেয়া ভোটারদের মধ্যে ৬ জনের মধ্যে ১০ জন বলেছেন, তারা চান না ওয়াশিংটন ইসরাইল আর কোনো সামরিক সহায়তা পাঠাক। ২০২৩ সালের নভেম্বরে কুইনিপিয়াক এ প্রশ্ন করা শুরু করে, আর এবারই সর্বোচ্চ বিরোধিতা উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: গাজার জেইতুন এলাকায় দেড় সহস্রাধিক ভবন গুড়িয়ে দিলো ইসরাইল
জরিপে ১ হাজার ২২০ জন নিবন্ধিত ভোটার অংশ নিয়েছেন। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতির দিক থেকেও জরিপে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ভোটারদের ৩৭ শতাংশ বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল। অন্যদিকে ৩৬ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। জরিপকারীরা বলছেন, ২০০১ সালের ডিসেম্বরের পর ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতির হার এবারই সবচেয়ে বেশি এবং ইসরাইলি প্রতি সহানুভূতির হার সবচেয়ে কম।
কুইনিপিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্লেষক টিম ম্যালয় বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে, অন্যদিকে ইসরাইলকে সামরিক তহবিল দেয়ার আগ্রহ দ্রুত কমছে। আর গাজায় ইসরাইলি অভিযানের যেভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তা এক কুখ্যাত শব্দ ‘গণহত্যা’কে সামনে নিয়ে এসেছে’।
আরও পড়ুন: গাজা শহরের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দেয়া হবে: ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলকে গাজায় গণহত্যা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। তবে দেশটিরর সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এক অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্তে বলেছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা যে গণহত্যার অভিযোগে মামলা করেছে তা গ্রহণযোগ্য এবং ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা থেকে সুরক্ষার জন্য ‘যৌক্তিক অধিকার’ রয়েছে। একই বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত এবং নিহত হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
সূত্র: আল জাজিরা
]]>