শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে জিম্মি ইলান ওয়েইসের মরদেহ উদ্ধার করেছে আইডিএফ ও শিন বেত। এ সময় আরও এক জিম্মির দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
টাইমস অব ইসরাইলে প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু কবির ন্যাশনাল ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে হারগোড় উদ্ধার করা জিম্মির পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: ‘গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল’, বিশ্বাস করেন অর্ধেক মার্কিন ভোটার
৫৬ বছর বয়সি ওয়েইস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের সময় নিহত হন। ওই সময় তার লাশ গাজায় নিয়ে যায় হামাস। একই সঙ্গে তার স্ত্রী শিরি ও মেয়ে নোগাকেও জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে সপ্তাহব্যাপী প্রথম সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় তারা মুক্তি পান।
আইডিএফ জানিয়েছে, গাজায় মরদেহ উদ্ধারের জটিল অভিযান পরিচালনা করছে সাউদার্ন কমান্ড বাহিনী, যেখানে সহযোগিতা করেছে সামরিক গোয়েন্দা অধিদফতর, শিন বেত ও হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম।
আরও পড়ুন: গাজার জেইতুন এলাকায় দেড় সহস্রাধিক ভবন গুড়িয়ে দিলো ইসরাইল
এদিকে জিম্মির মরদহে উদ্ধারের ঘটনায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একই সাথে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ‘সাহস ও দৃঢ়তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরাইল সব জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) ফিরিয়ে আনবে।
গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আকস্মিক অভিযানের পর দুই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর মধ্যে দুই দফার যুদ্ধবিরতির সময় দেড় শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়। ইসরাইল সরকার বলছে, গাজায় এখনও ৪৮ জিম্মি বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হয়।
]]>