গাজায় ইসরাইলের ত্রাণ বিতরণ ভয়াবহ ‘মৃত্যুফাঁদ’: জাতিসংঘ

৪ দিন আগে
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকায় ইসরাইলের ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এখন ভয়াবহ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোববার (১ জুন) ভোরে ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় ক্ষুধার্ত ও অনাহারি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের রাফাহ শহরে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই শহরটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ বোমাবর্ষণে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন: রাস্তায় পড়ে থাকা আটা তুলে নিচ্ছিলেন এক মা, আল্লাহর কাছে দিলেন বিচার

 

ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, সহায়তার নামে এই অপমানজনক ব্যবস্থার ফলে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত ও অসহায় মানুষকে বহু মাইল হেঁটে যেতে বাধ্য করা হয়েছে ওই ধ্বংসস্তূপে। আবার সেখানে গিয়ে ত্রাণের পরিবর্তে বুক ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে বুলেটে।

 

সংস্থাটি আরও বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা বিতরণ নিরাপদ ও বৃহৎ পরিসরে পরিচালিত না হলে গণদুর্ভিক্ষ অনিবার্য। ইসরাইলকে অবশ্যই গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিতে হবে এবং জাতিসংঘকে বাধাহীন ও নিরাপদভাবে ত্রাণ প্রবেশ ও বিতরণের অনুমতি দিতে হবে। এই সংকট মোকাবিলায় একমাত্র ইউএনআরডব্লিউএই সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে গুলির ঘটনায় নিহত প্রায় ৫০

 

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিশর থেকে পাঠানো তিন হাজারের বেশি সহায়তা ট্রাক উপত্যকায় প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার ৯০ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছে। যার ফলে ডায়রিয়া, মেনিনজাইটিসসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।


গাজার এই পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় আখ্যা দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ও লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। বাগদাদে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন