মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরাইলের গাজা দখলের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও জাতিসংঘের প্রস্তাবিত নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী, ইসরাইলকে ১৯৬৭ সালের সীমান্তে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু ইসরাইল তার আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, যা জাতিসংঘের অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করছে এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করছে।
জালালুদ্দীন বলেন, ইসরাইল গাজার ওপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে মানব ইতিহাসে এক নৃশংসতম ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধসহ ষাট হাজারের অধিক সাধারণ নাগরিক নিহত ও লক্ষ লক্ষ আহত হয়েছেন। হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গির্জা এবং ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে চলা ধ্বংসযজ্ঞ একটি বে-নজীর বর্বরতার নিদর্শন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি পরিবার এই হামলায় নিঃস্ব হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিআর ছাড়া গতিশীল হবে না সংসদ: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
তিনি বলেন, ইসরাইল প্রকাশ্যভাবে গাজা দখলের নীলনকশা ঘোষণা করেছে এবং প্রায় ১০ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনা করছে। এটি জাতিসংঘের নীতির পরিপূর্ণ লঙ্ঘন। এই আগ্রাসন জাতিসংঘের অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করছে, তার প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখাচ্ছে যে, যদি ইচ্ছা করে, ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো স্থানে তার আধিপত্য কায়েম করতে সক্ষম।
বিবৃতিতে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ আরও বলেন, এ ঘটনায় আরব রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা ও সীমানা দীর্ঘমেয়াদে হুমকির মুখে পড়তে পারে। এটি শুধু ফিলিস্তিন নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব শান্তির জন্যও মারাত্মক হুমকি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। ইসরাইলের এই আগ্রাসন বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত হতে হবে।