গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায়। ইসরাইলি আগ্রাসনের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা। তবে আবার গাজাবাসীর উদ্বেগ বাড়িয়ে দিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
স্থানীয় সময় শনিবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, এটি স্বল্পস্থায়ী। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনে আরও আগ্রাসী রূপে গাজায় হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইসরাইল।
ভাষণে যুদ্ধবিরতিকে নিজের জয় বলে উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু। এজন্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহায়তা করেছেন বলেও মন্তব্য তার।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেই আমাদের হামলা বন্ধ হবে: হুতি
নেতানিয়াহু জানান, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান নেতাদের হত্যার পর গাজার প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে। এ কারণেই হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে একমত হয়েছে।
টেলিভিশনের দীর্ঘ ভাষণের পর সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম এক্সে নেতানিয়াহু জানান, বন্দিদের তালিকা না দিলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে না ইসরাইল।
আরও পড়ুন: গাজায় লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা স্বীকার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এদিকে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার অনেকেই যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার অপেক্ষা করছেন বলে জানান ইসরাইলের এক সাবেক কূটনীতিক। এরমধ্যেই, ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিবাদে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের অভিনন্দন জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাসেম বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের 'অবিচল প্রতিরোধ'র প্রমাণ।
শনিবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, ‘এই চুক্তি, যা ২০২৪ সালের মে মাসে প্রস্তাব করা হয়েছিল, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর অবিচল অধ্যবসায়কে প্রমাণ করে। তারা যা চেয়েছিল তারা তা-ই অর্জন করেছে। অন্যদিকে ইসরাইল যা চেয়েছিল তা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।'
]]>