সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার পর হাসপাতাল থেকে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। এসময় হাসপাতালের বিছানায় থাকা কিছু রোগীসহ লোকজনকে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
স্থানীয় একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) একজন চিকিৎসককে ফোন করে রোগীদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাফাহকে ঘিরে ফেলেছে ইসরাইল, গাজায় হামলা আরও জোরদারের ঘোষণা
হামলার আগে আগে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি একটি ফোনকল পেয়েছেন। যে ব্যক্তি ফোন করেছেন, তিনি নিজেকে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পরিচয় দেন। বলেন, হাসপাতালটিতে হামলা চালানো হবে। এরপরই হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেয়া হয়।
হামাস ইসরাইলের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, ইসরাইল ‘শত শত রোগী এবং চিকিৎসা কর্মীদের আবাসস্থল আল-আহলি হাসপাতালকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে ভয়াবহ অপরাধ করছে’।
হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক জরুরি পরিষেবা।
আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ইসরাইল: এহুদ ওলমার্ট
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো এই জায়গা ছেড়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে কাউকে হাসপাতালে থাকা অসুস্থ স্বজনদের নিয়ে যেতে দেখা যায়; যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
হামাস পরিচালিত গাজার সরকারি গণমাধ্যম দফতর এক বিবৃতিতে এই হামলাকে জঘন্য ও নোংরা অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের অবশিষ্ট অংশ গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য ইসরাইল একটি পদ্ধতিগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে ৩৪টি হাসপাতাল ধ্বংস করেছে।
]]>