গাজার যুদ্ধে ‘সম্প্রসারিত বিরতির’ আহ্বান জানালেন ব্লিংকেন

১ সপ্তাহে আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গাজার যুদ্ধে “প্রকৃত ও সম্প্রসারিত বিরতির” আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফরকালে ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র “গাজার বড় এলাকা জুড়ে প্রকৃত ও সম্প্রসারিত বিরতি দেখতে চায়। সব ধরনের যুদ্ধ ও সংঘাতে বিরতি দেওয়া হোক। যাতে যেসব মানুষের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন, তাদের কাছে তা কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়। তিনি বলছেন ইসরায়েল মানবিক সমস্যাগুলোর সমাধানে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তারা একইসঙ্গে “নিজেদের জন্য নির্ধারণ করা লক্ষ্য পূরণ করেছে”। “এখনই যুদ্ধ বন্ধ করার উপযুক্ত সময়”।   গাজার ত্রাণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া   যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার বলছে, ওয়াশিংটনের অনুরোধ মেনে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে মানবিক ত্রাণের সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সীমিত হলেও খানিকটা অগ্রগতি দেখিয়েছে। যার ফলে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে না।  যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের সহকারী-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, “এ মুহূর্তে ইসরায়েলিরা যুক্তরাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করছে, এমন কোনো বিশ্লেষণ আমরা করছি না।” এর আগে ১৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন তাদের মিত্রকে এক মাস সময় বেঁধে দিয়ে গাজায় ত্রাণের প্রবাহ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছিল। ইসরায়েল ও হামাস জঙ্গিদের ১৩ মাসের যুদ্ধের জেরে গাজায় চরম আকারে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ত্রাণের প্রবাহ না বাড়ালে সামরিক সহায়তা কমানোর হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়সীমা মঙ্গলবার অতিক্রান্ত হয়েছে।  প্যাটেল বলেন, “আমরা ইসরায়েলকে কোনো ছাড় দিচ্ছি না”, তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই সার্বিকভাবে মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি হোক, এবং আমরা মনে করি কিছু সাম্প্রতিক পদক্ষেপ পরিস্থিতির উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে।” গাজায় ত্রাণের প্রবাহ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল। তারা ত্রাণ বিতরণের ধীর গতির জন্য জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাকে এবং এসব উপকরণ চুরি করার জন্য হামাসকে দায় দেয়।
সম্পূর্ণ পড়ুন