সোমবার রয়টার্স জানায়, এই হামলা এবং ট্যাঙ্ক পাঠানোর খবর এমন সময় এলো যখন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলার সংগঠনের সভাপতি বলেছেন, তারা একটি প্রস্তাব পাস করেছেন। তা হলো গাজায় ইসরাইল যে গণহত্যা করছে তা প্রতিষ্ঠার জন্য আইনি মানদণ্ড পূরণ করা হয়েছে।
তবে গাজা সিটি আক্রমণের বিবরণ বা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি সম্পর্কে ইসরাইলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:গাজা সিটি থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়া অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ হবে: রেড ক্রস
ইসরাইল অতীতে অস্বীকার করেছে যে, গাজায় তারা যেসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তা গণহত্যার সমান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের পর হামাসকে ধ্বংস করা এবং বাকি ৪৮ জন জিম্মিকে উদ্ধার করার লক্ষ্যে পুরো গাজা উপত্যকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে ইসরাইল। গাজা সিটি থেকেই তারা এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা শুরু করেছে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী জনাকীর্ণ শেখ রাদওয়ান পাড়ার পূর্ব অংশে পুরনো সাঁজোয়া যান পাঠিয়েছিল, তারপর দূর থেকে সেগুলো উড়িয়ে দেয় তারা। যার ফলে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং আরও কয়েকটি পরিবার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
এদিকে, গাজা সিটির উপর লিফলেট ফেলে দিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দক্ষিণে চলে যেতে বলেছে। কারণ সেনাবাহিনী পশ্চিম দিকে তাদের আক্রমণাত্মক অভিযান প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন:ইরানে ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ৮
]]>