শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে গাজায় তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। এরইমধ্যে হামাসের হাতে আটক ৩৩ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে থাকা প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) শেষ হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের সময়সীমা। হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি ফলপ্রসূ হবে কি না।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দেখছি কী হয়। কেউ আসলে জানে না, তবে আমরা দেখছি কী হয়। আমাদের মধ্যে ভালোই আলোচনা চলছে।’ তবে এ নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতা স্বীকার করে প্রতিবেদন ইসরাইলের
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইল ও হামাস একে অপরকে দায়ী করেছে। জাতিসংঘ ইসরাইলি জিম্মি ও মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের উভয়ের চিত্রকে দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রতি তার সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব নিয়ে করা এক প্রশ্নে স্টারমার বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি যে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র পথ।’
আরও পড়ুন: গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে ট্রাম্পের এআই ভিডিও, কী বলছে হামাস?
ট্রাম্পের গাজা দখলের ওই প্রস্তাবকে জাতিগত নিধন উল্লেখ করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। এছাড়া আরব রাষ্ট্রগুলো ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে কায়রোতে একটি সম্মেললের আয়োজন করা হয়েছে।
]]>