গাজা পরিকল্পনা নিয়ে উত্তপ্ত ফোনালাপ, নেতানিয়াহুকে কী বলেছিলেন ট্রাম্প

৪ দিন আগে
গাজায় যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে মার্কিন পরিকল্পনায় জিম্মিদের মুক্তি ও অন্যান্য কিছু শর্তে হামাসের আংশিক সম্মত হওয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একেবারেই ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিসের প্রতিবেদন মতে, হামাসের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে ফোন করেন এবং বলেন যে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু জবাবে নেতানিয়াহু তাকে বলেন, ‘এটা উদযাপনের কিছু নয়, এর কোনো অর্থ নেই।’

 

নেতানিয়াহুর এই কথায় ট্রাম্প চরম বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘আমি বুঝি না, কেন তুমি সবসময় এত নেতিবাচক।’ এই কথার মধ্যে একটি অশ্লিল শব্দও ব্যবহার করেন তিনি। এরপর চুক্তির ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা একটা জয়। এটা গ্রহণ করো।’

 

আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা নেই, ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে ইসরাইলি বিক্ষোভকারীরা

 

গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মুসলিম বিশ্বের আট দেশের নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বৈঠকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।

 

প্রায় এক সপ্তাহ পর গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে গাজা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ২০ দফা শান্তি প্রস্তাব প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

 

গত শনিবার (৪ অক্টোবর) ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। বলে, তারা সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি। তবে ২০ দফা চুক্তির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চায় তারা। 

 

আরও পড়ুন: প্রথম ধাপে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরাইল, জানালেন ট্রাম্প

 

এরপর সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, উপত্যকাটি থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে ইসরাইল। যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউস গেল সোমবার একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল। যেখানে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিভিন্ন সীমারেখা দেখানো হয়।

 

ট্রাম্প জানান, এই সীমারেখার মধ্যেই ইসরাইল প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। হামাস নিশ্চিত করলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ না নিলে সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি করেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন