এই সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ইসরাইল রাষ্ট্রের সঙ্গে শিক্ষা, গবেষণা ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ছিন্ন করা এবং ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিনিয়োগ ও ছাত্র বিনিময় চুক্তি বাতিল করা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আর সহযোগিতা করবে না।
চলতি সপ্তাহে ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় জেরুজালেম ইউনিভার্সিটির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়।
ডেইলি মেইল জানায়, ট্রিনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দিনের প্রচারণার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইমেলের মাধ্যমে তাদের অবহিত করেছে। গাজায় যুদ্ধ ও মানবিক সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে ছাত্ররা ওই আন্দোলন করে।
আরও পড়ুন: গাজার আল-আহলি হাসপাতালে ফের হামলা, তিন সাংবাদিক নিহত
বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নর বোর্ডের চেয়ারম্যান পল ফ্যারেলের জারি করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি ইসরাইল ও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল কোম্পানির সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে। যতদিন পর্যন্ত গাজায় আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইন লঙ্ঘন অব্যাহত থাকবে ততদিন এই অবস্থান বহাল থাকবে।’
আয়ারল্যান্ড এমন একটি দেশ যারা গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আইনি পদক্ষেপকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন করেছে। আইরিশ সরকারও গত মে মাসে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মার্কিন সরকারের সহায়তায় ইসরাইল গত প্রায় ২০ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ওই পাশবিক যুদ্ধে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস এবং তাদের হাতে বন্দিদের মুক্ত করার ঘোষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি ইসরাইল।
আরও পড়ুন: গ্রেটা থুনবার্গদের নৌকায় হামলার হুমকি ইসরাইলের
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী হামাস ও ইসরাইল সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির ভিত্তিতে গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরাইল আবারও গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে।
গাজা উপত্যকার গৃহহীন নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধ বন্ধে বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসেনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫৫ হাজার ছেড়ে গেছে।
]]>