জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ডোপ টেস্ট সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। প্রায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ডোপ টেস্ট কিট না থাকায় হাসপাতালটি এই গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিতে পারছে না। প্রতিদিনই এই সনদের আশায় অনেকেই হাসপাতালে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
মাসের পর মাস ধরে ডোপ টেস্ট করাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীরা, চাকরির আবেদনকারী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রত্যাশীরা। বাধ্য হয়ে তারা রংপুর বা বগুড়ায় গিয়ে টেস্ট করাচ্ছেন, এতে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ অর্থ। পাশাপাশি, একাধিক দিন নষ্ট হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিনেও এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ডোপ টেস্ট করাতে আসা সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, 'যে টাকা ডোপ টেস্ট করাতে খরচ হতো, এখন তার চেয়ে দ্বিগুণ টাকা শুধু যাওয়া-আসার পেছনেই খরচ হচ্ছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভোগান্তি ও সময়ের অপচয়। নিম্নআয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত ডোপ টেস্ট চালু করা দরকার।'
গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মোত্তালেব সরকার বকুল বলেন, 'প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আমরা দীর্ঘদিন থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। ডোপ টেস্ট বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের হয়রানি বাড়ছে।'
আরও পড়ুন: বরগুনায় ডোপ টেস্টে পজেটিভ ৬ জন কারাগারে
বিআরটিএ গাইবান্ধা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মো. কামাল আহমেদ কাজল বলেন, 'জেলায় ডোপ টেস্ট বন্ধ থাকায় আমরা চরম সমস্যায় পড়েছি। সব কাজ সঠিক সময়ে শেষ করলেও ডোপ টেস্ট সনদ পেতে দেরি হচ্ছে। ফলে নতুন লাইসেন্স ইস্যু কিংবা নবায়নে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আমরা নিয়মিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি সমস্যার সমাধানের জন্য।'
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ জানান, 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডোপ টেস্ট কিট সরবরাহ বন্ধ থাকায় আমরা সেবা দিতে পারছি না। সেই সঙ্গে নতুন করে কিট কেনার জন্য দরপত্র প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।'

২ সপ্তাহ আগে
৫








Bengali (BD) ·
English (US) ·