গণহত্যার বিচার দাবি, ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক ফেনীতে

৫ দিন আগে
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে 'মার্চ ফর গাজা' কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচির আদলে অনুষ্ঠিত হওয়া মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিচার দাবিসহ ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।

আয়োজকরা জানান, এটি এখন পর্যন্ত ফেনীর ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবথেকে বড় জমায়েত। যেখানে সকল রাজনৈতিক দল,সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ আপামর আমজনতা অংশ নেন।


সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে জেলার সব রাজনৈতিক দলসহ 'প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট ফেনী' নামের একটি প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে ফেনী মিজান ময়দানে থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যেখানে প্রতিবাদ, স্লোগান বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ফেনী।


বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড,জহিরিয়া মসজিদ হয়ে মহিপাল গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সব শ্রেণিপেশার মানুষ, শিক্ষার্থী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন। যেখানে ফুটে ওঠে নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতীকী লাশ, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে প্রতিবাদী স্লোগান এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনের পতাকা।

আরও পড়ুন: মার্চ ফর গাজার সমর্থনে সময় টিভির অভূতপূর্ব কাভারেজ

এ সময় ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চাই’ ’জিহাদ জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই’ ‘এ জিহাদে জিতবে কারা বিশ্বনবীর সৈনিকেরা’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো, ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘সাবিলুনা সাবিলুনা আল জিহাদ আল জিহাদ’, ‘ইহুদিবাদ নিপাত যাক ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘ফিলিস্তিন আমাদের আমাদের থাকবেই’, বয়কট বয়কট ইসরাইলি পণ্য বয়কট সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।


আয়োজকরা জানান, এটি ফেনীর রাজপথে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ। সমাবেশ থেকে ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করার প্রতিজ্ঞা করার আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠিন হুঙ্কার দেন তারা।


কর্মসূচিতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুফতি আব্দুল হান্নান বলেন, ‘এত গণহত্যার পরেও জাতিসংঘ চুপ রয়েছে।ইসরায়েলের নেতানিয়াহুসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হবে।’ 


ফিলিস্তিন মুক্ত হবে, আগামীর সব আন্দোলন সংগ্রামে মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।


জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে টুপি দাঁড়িওয়ালা দেখলেই অপমান করেছে। বহু আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। মক্তব, মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরাই ইসরাইলি বংশধর। এদেরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবেনা। গাজা রক্ষার আগে মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের ঈমান ও আকিদার অভাব, গাজা ফিলিস্তিন রক্ষায় আমাদের সকল মুসলমানদের একসাথে থাকতে হবে।’

আরও পড়ুন: ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’র খবর এবার আল জাজিরায়

ফেনী জহিরিয়া মসজিদের খতিব মুফতি ইলিয়াস বিন নাজেম বলেন, ‘মেরুদণ্ডহীন জাতিসংঘ আমরা চাই না। মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আবেদন জাতিসংঘে অর্থ পাঠানো বন্ধ করা হোক। নেতানিয়াহুর ছবিতে নয়, তাকে সরাসরি জুতা মারার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

 

কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশসহ বিভিন্ন ইসলামিক ছাত্র সংগঠন, বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, মুহতামিম, জেলার বিভিন্ন মসজিদের খতিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ ফেনীর সাধারণ আমজনতা উপস্থিত ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন