ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, বিচারের জন্য প্রস্তুত মূল ভবন। পেছনের ভবনগুলোতেও চলছে সংস্কারের তোড়জোড়। জরাজীর্ণ, ব্যবহার অনুপযোগী ভবনকে দৃষ্টিনন্দন করতে দিন-রাত কাজ করছেন গণপূর্তের নির্মাণ শ্রমিকরা। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে সংস্কার কাজ।
এর মধ্যে একটি ভবনে এক থেকে দুটি এজলাস তৈরির কথা ভাবছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। আরেকটি ভবন প্রস্তুত করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অফিস হিসেবে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলার চাপ সামলাতে এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিতে এ পরিকল্পনা তাদের।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী কতটা যুগোপযোগী?
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সময় সংবাদকে বলেন, ‘মূল ভবনটির সংস্কার কাজ যখন শুরু হয়, তখন আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনের পুরো প্রাঙ্গণটাই সংস্কারের জন্য দরখাস্ত করেছিলাম। তখন তিনি দরখাস্ত মঞ্জুর করেন। এর ভিত্তিতে গণপূর্ত থেকে চারটি ভবন একসঙ্গে সংস্কারের কাজ শুরু হয়। প্রথমটির সংস্কার ইতোমধ্যে সম্পন্ন করে আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়টির সংস্কার কাজ প্রায় শেষ। বাকি দুটি ভবন এতটাই জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছিল যে এটি সংস্কারে বেশ কিছু দিন সময় লাগবে। এ দুটি ভবনের সংস্কার কাজ শেষ হলে আমরা ট্রাইব্যুনালের আরও একটি বা দুটি এজলাস এখানে স্থানান্তর বা নতুন করে স্থাপন করতে পারি।’
আরও পড়ুন: শাপলা চত্বরে গণহত্যা / শেখ হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ
তিনি বলেন,
মামলার সংখ্যা বাড়াটা স্বাভাবিক। আর মামলার সংখ্যা বাড়লে একটি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা কঠিন হবে। আমরা দেখছি, এ ভবনে একটি বা দুটি এজলাস বসানো সম্ভব। সেজন্য আমরা এজলাসের জন্যই প্রস্তুত করতে বলেছি। এজলাস প্রস্তুত হয়ে যাক, তখন আমরা এখানে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জন্য আবেদন করব।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের আমলের ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, আমলা, পুলিশের ২৪ জনসহ মোট ৬৮ জনের বিচার চলছে।
]]>