রোববার (১৫ জুন) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত নানা কারণে ঈদের আগেই ভর্তি হন হাসপাতালে। এর আগেও বেশ কবার এসেছেন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন তবে এবার আর সেটা হলো না।
তার স্বজনরা জানান, বাদ এশা এলিফ্যান্ট রোডে মসজিদে মুনাওঅর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ও দুপরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে দাফন করা হবে।
মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান থেকে ‘৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ আর সবশেষ ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নিজের অবস্থান থেকে দেশের জন্য সবটা দিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন ঢাকা জেলা গেরিলা বাহিনীর প্রধান।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছাত্রাবস্থা থেকে যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। পরবর্তীতে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২ বার নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। যদিও ১৯৯২ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত হলে পরে যোগ দেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন মোস্তফা মোহসীন।
উল্লেখ্য, মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গত বছরের ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে গণফোরাম। ইমেরিটাস সভাপতি হন ড. কামাল হোসেন।