সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা দাবি করেন।
ফরহাদ বলেন, রিটকারী প্রার্থীকে বাজে মন্তব্য করা শিক্ষার্থী শিবিরের কেউ নয়। সিন্ডিকেট করে শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
হুমকি দেয়া শিক্ষার্থীর বিচার চান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিচ্ছি, বাজে মন্তব্যকারী জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী আলি হুসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফরহাদ দাবি করেন, শিবিরের প্রোগামের গেলেই সে শিবিরের হয়ে যায় না। জহুরুল হক হলের শিবিরের কোনো প্রোগ্রামে আলি হুসেন ছিল না।
আরও পড়ুন: ফরহাদের প্রার্থিতা নিয়ে রিট করা ফাহমিদাকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি
জানা গেছে, ফরহাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ফাহমিদার করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবারের ডাকসু স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত সেই স্থগিতাদেশ স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার আদেশ দেন।
তবে ডাকসু নির্বাচন স্থগিতাদেশ আসার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদের মতো ছাত্রসংগঠনগুলো মিছিল নিয়ে বের হয়, ভিসির বাসা ঘেরাও এবং স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। এমন পরিস্থিতির জন্য ফাহমিদাকে দায়ী করে তাকে গণধর্ষণের দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন আলি হুসেন।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই ডাকসু নির্বাচন: ঢাবি ভিসি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে ফাহমিদার ছবি পোস্ট করে হুসেন লেখেন, ‘হাইকোর্টের বিপক্ষে আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত। (কেউ এইসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না, যে একে সাপোর্ট করবে উপরের কথাটা তার জন্যও প্রযোজ্য।’
আলি হুসেন নামের সেই ফেসবুক আইডিটি বর্তমানে ডিএক্টিভেট আছে। হুসেনের সতীর্থদের কাছ থেকে জানা গেছে, আইডিটি তিনি নিজেই চালান। এ প্রসঙ্গে হুসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার মুঠোফোনে তাকে কল করলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
]]>