বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে মামলার শুনানিতে গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল এমরান আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ কমল রায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলী (২৫), মাগুড়া শ্রীপাড়ার স্বাধীন মিয়া (২৮), দক্ষিণ চাঁদখানা মায়াপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (২৮), উত্তর সিংগেরগাড়ি পাঠানপাড়ার এস এম আতিকুর রহমান খান আতিক (২৮) এবং দক্ষিণ সিংগেরগাড়ি চওড়াপাড়ার সাদ্দাম হোসেন সেলিম (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৬ জুলাই) ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে কটূক্তির অভিযোগে আলদাদপুর ছয়আনি বালাপাড়ার এক হিন্দু কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই কিশোরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: এখনো আতঙ্ক কাটেনি গঙ্গাচড়ায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর মেরামত করে দিচ্ছে প্রশাসন
রোববার (২৭ জুলাই) সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় কিশোরকে আদালতে হাজির করে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাশের নীলফামারীর সিংগেরগাড়ি, মাগুড়া ও বাংলাবাজার এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে লোকজন এসে হামলা চালান। পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রবীন্দ্রনাথ গঙ্গাচড়া থানায় অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ‘গ্রেফতার পাঁচ আসামিকে আদালতে তোলা হলে তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
]]>