ভোলায় সড়ক বিভাগের কাজে ব্যবহৃত দুটি জিপগাড়ি এক যুগের বেশি সময় ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। সংস্কার বা বিক্রির উদ্যোগ না নেয়ায় গাড়িগুলো এখন ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এলজিইডি ভবন চত্বরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, ৪টি রোলার, একটি পিকআপভ্যান ও একটি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন বছরের পর বছর বিকল হয়ে পড়ে আছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের ৪টি নৌ-অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ৭টি অ্যাম্বুলেন্স, মৎস্য বিভাগের ৪টি স্পিডবোট এবং বিভিন্ন দপ্তরের আরও অর্ধশতাধিক মোটর ও নৌযান রয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায়।
ঝালকাঠি পৌরসভায়ও একই অবস্থা। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান জানান, পৌরসভার ২৬টি আধুনিক যানবাহন ও যন্ত্রপাতির মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ৪টি। সম্পূর্ণ বিকল ২টি এবং আরও ১৬টি যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্ষয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুই বছরেই বেহাল দশা ১১৭ কোটির অত্যাধুনিক বাস টার্মিনালের!
বরগুনা পৌরসভায় নিলাম জটিলতার কারণে সবচেয়ে বেশি যানবাহন অকেজো অবস্থায় রয়েছে। কোটি কোটি টাকা মূল্যের নতুন ও পুরাতন গাড়ি এখানেও নষ্ট হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নৌযান ঘাটেও নিলাম জটিলতার কারণে কোটি টাকার স্পিডবোট বিকল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এদিকে, বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) নগর ভবনের আশপাশে পড়ে থাকা বিকল গাড়িগুলোর চিত্র একই রকম। ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা মোটরসাইকেলগুলো রোদে-পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, ‘স্ব স্ব দফতর যদি কার্যকর উদ্যোগ নেয়, তাহলে রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলো রক্ষা পাবে। যেসব যন্ত্রাংশ একেবারেই বিকল, তা দ্রুত নিলামে বিক্রি করা এবং যেগুলো মেরামতযোগ্য, সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সচল করা উচিত।’
সরকারি দফতরের এমন উদাসীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন নাগরিকরা। তাদের প্রশ্ন, জনগণের করের টাকায় কেনা এসব কোটি টাকার সম্পদ রক্ষায় দেখবে কে?
]]>