স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিন ধরে ভারতের ত্রিপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে খোয়াই নদীর পানি হঠাৎ করে বেড়ে যায়। যদিও এখনো পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টির কারণে নদীর বাঁধে কাঁচা অংশে ধস দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ভাদৈ এলাকায় বাঁধের কিছু অংশ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই আশপাশে অবস্থান নিয়ে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে বৃহৎ এলাকা প্লাবিত হয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়বেন হাজারো মানুষ।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর প্রভাব হবিগঞ্জেও পড়ছে। তবে গতকাল দুপুর থেকে হবিগঞ্জে বৃষ্টি না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। অনেকেই মনে করছেন, বৃষ্টি না হলে পানি বাড়লেও বড় ধরনের বন্যা এড়ানো সম্ভব হতে পারে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে বৃষ্টি থামায় বন্যার সম্ভাবনা অনেকটাই কমেছে। তবে ভারতের ত্রিপুরা পাহাড়ি এলাকায় যদি আবার বৃষ্টি হয়, তাহলে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
আরও পড়ুন: বেড়িবাঁধ ভেঙে মুহূর্তেই তলিয়ে গেল বরগুনার দুটি গ্রাম
তিনি বলেন, খোয়াই নদীর ভাদৈ এলাকায় বাঁধে ধস দেখা দেওয়ায় জরুরি বরাদ্দের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বাজেট অনুমোদন হলেই দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখছেন। একই সঙ্গে নদীপাড়ে স্বেচ্ছাশ্রমে পাহারা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় তরুণরা। সবাই বন্যা ও বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন।