খুলনায় জলাবদ্ধতায় সবজি ক্ষেত-মাছের ঘেরে ক্ষতি কয়েক কোটি টাকা

৪ সপ্তাহ আগে
খুলনায় টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অতিরিক্ত পানিতে একাকার হয়ে গেছে সবজি ক্ষেত ও মাছের ঘের। পানি নামতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকার।

পানিতে নিমজ্জিত বর্ষাকালীন সবজি, অফ সিজন তরমুজের ক্ষেত এবং রুপা আমনের বীজতলা।জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে খাল দখল ও বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীদের মাছ চাষকে দায়ী করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।


মৎস্য ও কৃষি অফিসের তথ্য বলছে, জেলার ৯ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাইকগাছা উপজেলা। এ উপজেলায় ৩ হাজার ৭৫৫টি পুকুর-ঘের ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে ৪ কোটি টাকার। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর ফসলি জমি। বটিয়াঘাটা, কয়রা, দাকোপ, ডুমুরিয়া উপজেলাসহ খুলনাজুড়ে ভারি বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।


এদিকে জেলায় মোট ১১০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জলাবদ্ধতায় এমন ক্ষতির কারণ হিসেবে প্রাকৃতিকের চেয়ে মানবসৃষ্ট কারণকেই বেশি দুষছেন স্থানীয়সহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।


বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের কৃষক জলিল শেখ বলেন, ‘এত বৃষ্টিতে সব দিকে পানি। খাল দখলদারদের হাত পা ধরতেছি, যে পানি নামায়ে দেন। আমরা ডুবে মরতেছি তাতে তাদের কোনো খেয়াল নেই। মাছ ভেসে গেছে, সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন: বেহাল দশা যশোর-খুলনা মহাসড়কের, ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য

একই এলাকার প্রিন্স বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে সাড়ে তিন মণ ধানি মাছ ছেড়েছি। ভেড়ির এক-দেড় হাত উপরে পানি। সব মাছ চলে গেছে। পানি নামার পথ থাকলে আমাদের এই অসুবিধা হতো না।’


বটিয়াঘাটা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই খান বলেন, ‘প্রভাবশালী এবং আবাসন ব্যবসায়ীরা অনেক স্থানে প্রকল্প করেছে পানি নিষ্কাশনের পথ আটকে দিয়ে। ময়ূর নদীতে দশ গেট দিয়ে পানি সুন্দর ভাবে নামতে পারছে কিন্তু এলাকার পানি সে পর্যন্ত যেতে পারে না।’ 


এসব দখল না থাকলে জলাবদ্ধতা হবে না বলে মনে করেন তিনি।


খুলনা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চার দিনে জেলায় মোট ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন