খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক প্রকল্পে অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদকের অভিযান

৩ সপ্তাহ আগে
খুলনায় মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া কেডিএর শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।


স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি আধা-সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।


দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগ উঠেছে প্রকল্পের কাজ সময়মতো সম্পন্ন না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অর্থ আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি যেটুকু কাজ করা হয়েছে তাতেও মান বজায় রাখা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এর আগে, এনফোর্সমেন্ট দলের সদস্যরা কেডিএ কার্যালয়ে গিয়ে প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র, ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের রশিদ ও অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। এ সময় বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা উপস্থিত থেকে সড়কের নির্মাণকাজের মান, অগ্রগতি এবং কাজে ব্যবহৃত উপকরণের মান যাচাই করেন।


আরও পড়ুন: খুলনার শিপইয়ার্ড সড়কের দ্রুত সংস্কার চান জামায়াতে ইসলামীর নেতারা


উল্লেখ্য, ৩ দশমিক ৭৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি ২০১৩ সাল পর্যন্ত খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন থেকেই এটি ভাঙাচোরা। মেরামতের কিছুদিন পরই গর্ত তৈরি হতো। ২০১৩ সালের ৭ মে সড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করে পুনর্নির্মাণের জন্য একনেকে প্রকল্প অনুমোদন করায় কেডিএ। ব্যয় ধরা হয় ৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এরপর থেকে সড়কটি কেডিএর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ৯ বছর পর কাজ শুরু করে তারা। ততদিনে বড় বড় গর্ত হয়ে সড়কটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।


সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আতাউর রহমান লিমিটেড অ্যান্ড মাহাবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডকে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) কার্যাদেশ দেয় কেডিএ। ওই বছর ২০ জানুয়ারি কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। নির্ধারিত সময়ে অর্ধেক কাজও হয়নি। ফলে প্রকল্প সংশোধন করা হয়। ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৯ কোটি টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় গত ৭ আগস্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। বর্তমানে সড়কটির কাজ বন্ধ রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন