মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী টোলপ্লাজা এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেয় আন্দোলনকারীরা। এতে খুলনার প্রবেশদ্বারে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট, দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
মাইকে স্লোগান আর টায়ার জালিয়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন করে তারা।
গত ২৫ জুন থেকে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র জনতার ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন এসআই সুকান্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ছাত্র জনতার ব্যানারে কেএমপি কার্যালয়ের সামনে আন্দোলন শুরু হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ কমিশনার ও ডিসির পদত্যাগ নিয়ে ভিন্ন অবস্থানে খুলনার বৈষম্যবিরোধীদের দুই অংশ
অভিযোগ ছিল, জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা এবং বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুরে জড়িত থাকার পরও তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। পরে চুয়াডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলেও, খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে এ আন্দোলন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে রূপ নেয়।
তবে সোমবার খুলনা প্রেস ক্লাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অপর অংশ সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, কাউকে টিকিয়ে রাখা বা নামানোর উদ্দেশ্যে এ আন্দোলন শুরু হয়নি। কিন্তু বর্তমানে গুটিকয়েক সহযোদ্ধাকে ব্যবহার করে একটি বিশেষ মহল আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে।