খুলনায় হাইটেক পার্ক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!

৩ ঘন্টা আগে
খুলনায় হাইটেক পার্ক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। গেলো প্রায় চার মাস ধরে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ। আগস্টের শুরুতে সরকার পতনের পর ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যাওয়ায় প্রকল্পটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কবে নাগাদ আবার কাজ শুরু হবে, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

প্রতিদিন একযোগে ২০০ শ্রমিক কাজ করায় যেখানে জমজমাট ছিলো এলাকাটি, সেখানে এখন যেন সুনসান নীরবতা। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্মাণ সামগ্রী। এর মধ্যে আছে ক্রেনসহ ভারী যন্ত্রপাতিও। পুরো এলাকায় হাতে দেখা মেলে হাতে গোনা কজন কর্মকর্তা, আর নিরাপত্তা প্রহরীর।


দেশের তরুণ সমাজকে তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে খুলনায় একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৭ সালে। নগরীর লবণচরা এলাকায় ৩.৫৯ একর জমিতে ২০২২ সালে শুরু হয় এর নির্মাণ কাজ; শেষ হওয়ার কথা ছিলো চলতি বছর জুনে। যেখানে স্টিল স্ট্রাকচারের ৭-তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন ও একটি সিনেপ্লেক্স ভবণ নির্মাণসহ বেশকিছু অবকাঠামো নির্মাণ হওয়ার কথা।


তবে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সেন অ্যান্ড টার্বো চলতি জুলাই মাস পর্যন্ত এর মাত্র ৩৬ শতাংশ কাজ করেছে। সরকার পতনের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি চলে যাওয়ায় পুরো কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

 

আরও পড়ুন: শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টারটির কথা জানে না কেউ, হতাশ উদ্যোক্তারা


সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), খুলনার সভাপতি অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা বলেন, ‘এ ধরনের বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার। এতদিন ধরে কাজ বন্ধ। এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ কিছু ভাবছে না। এতে প্রকল্পের মূল্য বেড়ে যেতে পারে। কোন ঠিকাদার পালিয়ে গেলে বিকল্প ঠিকাদার দিয়ে অবশ্যই কাজ শেষ করা উচিত। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এখানে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’


হাইটেক পার্ক নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ যুব সমাজও। এ অঞ্চলের তরুণদের প্রযুক্তি জ্ঞান বাড়ার পাশাপাশি বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে জানিয়ে দ্রুত কাজটি ফের শুরু করার দাবি তাদের।


তবে কবে থেকে আবার কাজ শুরু হবে, সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি প্রকল্প পরিচালককে। যদিও জেলা প্রশাসন বলছে, সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত কাজ শুরুর চেষ্টা করছেন তারা।


অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে যোগাযোগ করছি, তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করছে। আমরা এ ধরনের বন্ধ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরুর ব্যাপারে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’


দেশি-বিদেশি অর্থায়নে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা আছে ১৭০ কোটি টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন