মঙ্গলবার (২৭ মে) ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে ভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন মেট্রোপলিটন কলেজ রোডের পাশে একটি চানাচুর ফ্যাক্টরির কাছে একা অবস্থান করছিলেন গোলাম হোসেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, মো. হৃদয় নামের এক যুবক ও তার সঙ্গীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ২৬ মে ভোর ১টা ২৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের খালাতো ভাই মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর র্যাব-৬ তথ্য সংগ্রহ ও তদন্ত শুরু করে। ২৭ মে দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দ আলী সড়কে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি মো. হৃদয়কে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে অস্ত্রসহ ২ নারী আটক
অন্যদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানা ও গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও তিনজনকে শনাক্ত করে। ২৬ মে রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা এবং ময়ুর ব্রিজের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালিয়ে মো. হাসান বিশ্বাস (২২), মো. আলামিন সরদার সুজা (২৫) ও মো. সজীব সরদারকে (২২) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতার জের রয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।