সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এর আগে থেকেই খুলনার নিউ মার্কেট, বড়বাজার, নিক্সন মার্কেট, জলিল মার্কেট, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স ও কেডিএ অ্যাভিনিউর মার্কেটগুলো উৎসবের রঙে সেজেছে। সব বয়সি ক্রেতাদের পদচারণায় জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরো শহর।
ফ্যাশন হাউসগুলো এনেছে নতুন কালেকশন। জামদানি, টাঙ্গাইলের শাড়ি, কাতান, সিল্ক, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, প্রসাধনী ও জুতার দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বড়বাজার এলাকায়।
বড়বাজারের সোহরাওয়ার্দি মার্কেটে পরিবারের চারজনকে নিয়ে কেনাকাটায় আসা গৃহিণী রেখা রানি বলেন, ‘হাতে এখনও কিছুটা সময় আছে, তবে আগেভাগেই কেনাকাটা শেষ করতে চাই। সবাইকে নিয়ে এসেছি, বাচ্চারা দেখে দেখে পোশাক বেছে নিচ্ছে এটা খুব আনন্দের।’
আরও পড়ুন: খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু
একই মার্কেটে বাবাকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা অমিয় সুন্দর বলেন, ‘বাবার জন্য পাঞ্জাবি আর নিজের জন্যও পাঞ্জাবি কিনেছি। স্ত্রী আর সন্তানরা কাল আসবে। এবারের দুর্গোৎসবটা ভালো কাটবে আশা করি।’
বিক্রেতারাও আশাবাদী। বড়বাজারের আপন ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের পর সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয় এ সময়ে। এ বছর মেয়েদের ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লেহেঙ্গা ও অন্যান্য পোশাকেরও ভালো চাহিদা আছে।’
নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আবুল মজুমদার জানান, ‘অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের সংগ্রহ বেশি, বিক্রিও বেশি হবে বলে আশা করছি। কারণ, পূজার সময় অনেকেই ভারতে বিশেষ করে কলকাতায় কেনাকাটায় যেতেন। এ বছর ভিসা জটিলতার কারণে অনেকেই যেতে পারছেন না, তাই স্থানীয় মার্কেটেই ভিড় বেড়েছে।’
শিববাড়ি মোড়, ডাকবাংলা মোড়, পিকচার প্যালেস, রেলওয়ে মার্কেট ও জলিল সুপার মার্কেটেও একই চিত্র দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজের চাহিদা এবার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ডিজাইন করা কাতান ও সিল্ক শাড়ি ক্রেতাদের নজর কেড়েছে।
]]>