অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘ফাস্টফুড ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করে ঘরের তৈরি পুষ্টিকর খাবার শিশুদের খাওয়াতে হবে। আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাবার বর্জন করে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত হতে হবে।’
তারা আরও বলেন, শিশু, কিশোর-কিশোরী, গর্ভবতী নারী এবং প্রবীণদের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা জরুরি। একটি সুস্থ ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সচেতন পুষ্টিনীতির কোনো বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে শিশুদের পুষ্টি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বক্তারা জানান, জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। পাশাপাশি বাল্যবিবাহ রোধের ওপর জোর দেওয়া হয়, কারণ অল্প বয়সে বিবাহিত নারীরা পুষ্টিহীনতায় ভোগার ঝুঁকিতে থাকেন।
আর ওপর: সকালে দই চিড়া খেলে কী হয়?
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মোছা. মাহফুজা খাতুন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক মো. আকিব উদ্দিন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো: রফিকুল ইসলাম গাজী এবং শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সরাফত হোসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।
আলোচনা শেষে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।