যার মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার ৩৮৩টি গরু, ২ হাজার ১৬২টি ছাগল, ১০৩টি ভেড়া এবং তিনটি মহিষ। যা গত বছরের তুলনায় ৩৮২টি বেশি। মোট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৫০ টাকা।
তবে পশু বিক্রি বাড়লেও কেসিসির হাসিল আদায় কমেছে প্রায় ১৮ লাখ টাকা। কারণ, গত বছর যেখানে ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় করা হয়েছিল, সেখানে এবার হার নির্ধারণ করা হয় ৪ শতাংশ। এতে রাজস্ব আদায় দাঁড়ায় ২ কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার ৬০২ টাকা।
কেসিসির বাজার সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গাজী সালাউদ্দিন জানান, এ বছর হাটে ৪ হাজার ৩৮৩টি গরু, ২ হাজার ১৬২টি ছাগল, ১০৩টি ভেড়া এবং তিনটি মহিষ বিক্রি হয়েছে। ক্রেতাদের আর্থিক সক্ষমতা ও স্বস্তির কথা বিবেচনায় এনে কেসিসি এ বছর হাসিল হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যা বিক্রি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে, রাতেই খুলনা শহর বর্জ্যমুক্ত করার অভিযান
হাটটি শুরু হয় ১ জুন বিকেল থেকে এবং চলে ৭ জুন ফজরের আজান পর্যন্ত। প্রথম পাঁচ দিনে বিক্রি হয় প্রায় ৩ হাজার পশু। তবে শেষ দুই দিনে বেড়ে যায় ক্রয়-বিক্রয়ের চাপ, বিশেষ করে শেষ দিনেই বিক্রি হয় অর্ধেকের বেশি পশু।
এবারের হাট ব্যবস্থাপনায় দেখা গেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই পুরো হাট পরিচালনা করেন কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগের বছরগুলোতে জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে হাট পরিচালিত হলেও, এবার তা হয়নি। এতে করে ব্যবস্থাপনায় গতি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।