বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। স্থানীয়দের ধারণা, ইজি বাইকের গ্যারেজ বা পাশের একটি বেকারি থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকানে। খবর পেয়ে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের বয়রা, দৌলতপুর ও খালিশপুর স্টেশনের মোট পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ডাম্পিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে আগুন নির্বাপণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ দেখি ধোঁয়া উঠছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে কেউ দোকানে ঢুকতে পারেনি। আমরা পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি, কিন্তু ব্যর্থ হই। আরেক দোকান মালিক বলেন, আমার দোকানটায় নতুন করে মাল এনেছিলাম। সব পুড়ে গেছে। কিছুই বাঁচাতে পারিনি। চোখের সামনে সব শেষ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: নরসিংদীর মাধবদীতে আগুনে পুড়ল ৩ টেক্সটাইল কারখানা
ফায়ার সার্ভিস খুলনা সদরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। প্রায় আধাঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে সাতটি দোকান, দুটি অটো গ্যারেজ এবং জামায়াতে ইসলামী কার্যালয়ের কিছু আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে ডাম্পিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন, যাতে আগুনের পুনঃসঞ্চার না ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
]]>
                        ১ সপ্তাহে আগে
                        ৬
                    







                        Bengali (BD)  ·       
                        English (US)  ·