জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ২৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। যাদের মাত্র ৩৭ শতাংশ আবাসিক হলে থাকেন। আর বাকিরা বিভিন্ন মেস ও বাসা-বাড়িতে।
শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবারের দাম ও মান নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগের ভিত্তিতে ছেলেদের কয়েকটি হলে চালু হয় 'ইসাবেল ক্যাটারিং' ব্যবস্থা। যেখানে শিক্ষার্থীরা বাজার করা থেকে শুরু করে পুরো ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। আবাসিক শিক্ষার্থীর জন্য টোকেনের মূল্য ৩৫ আর অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের এক দিন আগে এই টোকেন কিনতে হয় ৪০ টাকায়।
আরও পড়ুন: রাবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত ৩০
কিন্তু, সেখানেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। সংশ্লিষ্ট হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা ক্যাটারিংয়ের খাবার খেতে পারলেও অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা টোকেন জটিলতায় এই খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাদের অভিযোগ, ক্যাটারিং সিস্টেমের কারণে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের একদিন আগে টোকেন কিনতে হয়। কিন্তু, পরদিন ক্লাস-পরীক্ষা বা জরুরি কাজ থাকলে খেতে পারেন না খাবার। এতে ৪০ টাকা ক্ষতি হয়।
এদিকে, ক্যাটারিং সিস্টেমের দুর্বলতার কথা স্বীকার করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হল প্রশাসনের সহযোগিতা ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে 'ইসাবেল ক্যাটারিং' ব্যবস্থা চালু করা হয়।
]]>