খাবার নষ্ট করায় বরযাত্রীদের আটকে রাখল কনেপক্ষ, উদ্ধারে পুলিশ

বিয়ে বাড়িতে খাবার নষ্ট করা নিয়ে বর-কনে পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বরপক্ষের ৭ টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

সোমবার (৯ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ্ ইউনিয়নের গুদাশিমুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতদের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

 

আহতরা হচ্ছেন, আব্দুল মাজেদ সরদার, রিপন সরদার, রুকন সরদার, বাবু, লাভলু, আব্দুল মালেক, কনের নানা শহিদুল্লাহ, বাবুর্চি বুরুজ আহত হয়। এ ছাড়া ১০ জন নারীও রয়েছেন।

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চর শোভাগাছা এলাকার আমিনুর আকন্দের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক তারেকের (২৪) সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের পোশাক শ্রমিক আসাদুল ইসলামের মেয়ে আর্জিনার। বিয়ের সময় মেয়েকে ছেলের বাড়িতে তুলে দেয়া হয়নি। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে বরের বাড়িতে তুলে দিতে সোমবার মেয়ের বাবা আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজন করেন।

 

আরও পড়ুন: বর আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে হাজির ভ্রাম্যমাণ আদালত

 

অনুষ্ঠানে বর পক্ষের লোকজন খাবার নষ্ট করছিলেন। এ সময় কনে পক্ষের লোকজন তাদের খাবার নষ্ট করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

 

এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আহত হয় উভয়পক্ষের নারীসহ প্রায় ২০ জন।

 

এ সময় বরপক্ষের একজন ছেলে ও মেয়েকে আটকে রাখেন কনেপক্ষের লোকজন। পরে তারা ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তাদের উদ্ধার করে।

 

এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহতরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা মো.আলমাস হোসেন বলেন, ‘আমি অন্য একটি দাওয়াতে ছিলাম। ঘটনার সময় ছিলাম না। খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে এসে শুনেছি, খাবার নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আমি এসে বিয়ে বাড়িতে ছেলেপক্ষের লোকজনদের পাইনি।’

 

আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ির আনন্দ রূপ নিল বিষাদে, খুলে ফেলা হলো বউভাতের প্যান্ডেল

 

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘বিয়ে বাড়িতে মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলে পক্ষের লোকদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে কোনো পক্ষই  অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

]]>