খানাখন্দে ভরা রাজধানীর অনেক সড়ক, হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা

২ দিন আগে
খানাখন্দে ভরা রাস্তা, হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা, অভিযোগ জানানোর পরও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। রাজধানীতে এমন সড়কের সংখ্যা কম নয়। সড়কের দুরবস্থার জন্য ওয়াসা ও রাজউককে দুষছে সিটি করপোরেশন।

রাজধানীর ১০০ ফিট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আট বছর ধরে মুদি দোকান চালাচ্ছেন রাসেল খান। এই দোকানের আয় থেকেই সংসার চলে। তবে দেড় বছর ধরে দেখছেন না লাভের মুখ। এর মূল কারণ রাস্তার দুরবস্থা। দোকানি রাসেল খান বলেন, রাস্তার বাজে অবস্থার কারণে ক্রেতা কম আসছেন। গত দেড় বছর ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

 

রাসেল আরও জানান, রাস্তা মেরামতের দাবিতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দোকানের মালিকরা গিয়ে সিটি করপোরেশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। ফলে নিরুপায় হয়ে দোকান বিক্রি করে ১০০ ফিট এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। খানাখন্দে ভরা রাস্তার কারণে অতিষ্ঠ নিয়মিত যাতায়াতকারীদের। তারা বলেন, খানাখন্দের জন্য প্রায়ই রাস্তার গর্তে পানি জমে থাকে। রিকশা-ভ্যান আটকে যায় গর্তে।

 

আরও পড়ুন: মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

 

রাজধানীতে ভাঙাচোরা আরও অনেক সড়ক রয়েছে। গুলশানের লেক রোডও বেহাল। নির্মাণের পর একবারও সংস্কার করা হয়নি সড়কটি। এলাকাবাসী জানান, গত ১০-১২ বছর ধরে রাস্তার তেমন কোনো সংস্কার কাজই হয়নি। এতে অনেক সড়কেরই বেহাল দশা।

 

একাধিকবার অভিযোগ জানানোর পরও অবহেলিত পড়ে রয়েছে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকার সড়ক। ফলে সীমাহীন ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে কেন বছরের পর বছর রাজধানীর অনেক সড়কের দুরবস্থা?

 

উত্তর সিটি করোরেশন বলছে, ১০০ ফিটে ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য দায়ী ওয়াসা। আর লেক রোডের দায় রাজউকের। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের  প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন খান বলেন,  ১০০ ফিটে ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য দায়ী ওয়াসা। কারণ ওয়াসার একটি সুপেয় পানির প্রজেক্ট ধীরগতিতে চলার কারণে এই অবস্থা।

 

সিটি করপোরেশনের আওতায় আসা নতুন ওয়ার্ডগুলোর মধ্যেও রয়েছে অনেক অবহেলিত সড়ক। মেরামতে চার হাজার কোটি টাকার মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প নেয়া হলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন