এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সড়কে অবরোধ শিথিলের খবরে পরিবহন সেক্টরে স্বস্তি এসেছে। দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। আটকেপড়া বাকি পর্যটক ও জরুরি কাজে অনেকে ছুটছেন গন্তব্যে। তবে অন্যান্য সড়কে অবরোধ চলবে বলেও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ দিকে প্রশাসনের আহুত ১৪৪ ধারা এখনো বহাল রয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারায় এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
জানা গেছে, অবরোধের কারণে আজও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তাভাবে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ পালন করা হচ্ছে। তবে, পিকেটারদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
এর আগে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলার গুইমারায় সহিংসতা চলাকালে গুলিতে তিন পাহাড়ি নিহত এবং সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বেশ কয়েকজন পাহাড়ি-বাঙ্গালী আহতের পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহতের মরদেহগুলো বিকেলে খাগড়াছড়ি খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তাদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। সোমবার মরদেহের ময়নাতদন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে চলছে ১৪৪ ধারা, থমথমে পরিস্থিতি
খাগড়াছড়ির হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, গত দু‘দিনে নানাভাবে আহত ৩০ জনের মতো জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে কোন ঘটনায় এবং কোথায় তারা আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
রাঙ্গামাটির লংগদু, বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলা সড়কে অবরোধ থাকায় বিভিন্ন বাজারের জন্য নিয়ে আসা কাঁচামাল নিয়ে কিছু ট্রাক ও পিকআপভ্যান আটকা পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ পাহাড়ি-বাঙ্গালী, ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিকরা।
সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি বিজিবি, পুলিশ মাঠে রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল। তিনি জানান, উদ্ভূত অবস্থা ক্রমেই উন্নতির দিকে। আজ কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা অবরোধ আহ্বান করে।