মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি আমলী আদালতের বিচারক তারেক আজিজ রায়হানের আদালতে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল মামলাটি করেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আফছার হোসেন রনি।
পরে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলায় সাতজনের নাম দেওয়ার পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে হেনস্তার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, মাইন উদ্দিন ভুটো, নুরুল ইসলাম, এম এফ রাব্বি, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং রহিম মিয়া নাঈম ওরফে আরেফিন নাঈমের নাম রয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ অগাস্ট দুপুরে খাগড়াছড়িতে ছাত্র-জনতার হামলার সংবাদ সংগ্রহের সময় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে একদল লোক সাংবাদিকদের ওপর হামলায় চালায়। এতে এইচ এম প্রফুল্লসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।
এদিকে কুজেন্দ্র লাল ও তার সহযোগীরা একাধিক ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্লের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট দিয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।